শুক্রবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

কোন এক ফাগুনে


কোন এক ফাগুনে এসেছিলে তুমি,
ভালোবাসার উষ্ণ ছোঁয়া নিয়ে।
তোমায় ঘিরে স্বপ্ন বুনেছিলাম জোছনায় ভেজার।
একরাশ রঙিন স্বপ্ন, জোনাকির মতো
আমার মনের উঠোনে আলো ছড়িয়ে দিয়েছিল।
আমি সেই আলোয় আলোকিত হয়েছিলাম
তোমায় পাশে রেখে।

কোন এক ফাগুনে কৃষ্ণচূড়া গাছটা,
আগুনলাগা পরশ মেখেছিল গায়ে।
তোমায় ঘিরে ভালোলাগা সাজিয়ে ছিলাম মনের অগোচরে।
অফুরান ভালোলাগা, কোকিলের মতো
আমার মনের ডালে বসে কুহু সুরে ডেকেছিল।
আমি সেই সুরে বিভোর হয়েছিলাম
তোমায় পাশে রেখে।

বুধবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

কথা দিলাম

সুখের ভাগ চাইনা তোমার,
দুঃখের দিনে অন্তত আমায় ডেকো।
হাজার পথ পাড়ি দিয়ে আমি আসবো ছুঁটে
তোমার দুঃখের ভাগ নিতে।
কথা দিলাম...
কখনো যদি নিজেকে বড় একা মনে হয়,
তবে সেদিনও তুমি আমাকে পাশে পাবে।
স্বপ্নহীন হলে কখনো,
আমার দু’চোখের স্বপ্নগুলোতেই তোমার
দু’চোখ রাঙিয়ে দেবো,
এই আমাকে উজার করে।

বৃহস্পতিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আকাশ মাটি

আমার আকাশ আমার মাটি
সত্যি পাগল করা!
আকাশ-মাটি নিপুণ হাতে
সৃষ্টিকর্তার গড়া।


স্বপ্ন নিয়ে ঐ আকাশে
পূর্ণিমার চাঁদ ওঠে,
এই মাটিরই সবুজ গাছে
হাজারও ফুল ফোটে।


আকাশেতে মেঘ ভাসে আর

সূর্য কড়া নাড়ে,
সোনালি ফসল ফলায় কৃষাণ
কোমল মাটির ক্রোড়ে।
 

রিমঝিমিয়ে বৃষ্টি পড়ে
নীল সে আকাশ থেকে,
সূর্য সন্তান ঘুমিয়ে আছে
এই মাটিরই বুকে।


ডানা মেলে পাখিগুলো
আকাশ সীমায় মেশে,
মাটি হয়ে রবো আমি
এই বাংলাদেশে।

মঙ্গলবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

উপমা

- মৃন্ময়...
  চেয়ে দ্যাখো,
  চাঁদটা কী সুন্দর জোছনা বিলাচ্ছে পুরো আকাশটা জুড়ে!
- হুম...
  অনেকটা তোমার মতো।
- আমার মতো মানে?
- তোমার মতোই তো!
- সেটা আবার কি রকম?
- এই যে, আকাশ জুড়ে যতক্ষণ চাঁদটার অস্তিত্ব থাকে,
  ততক্ষণ সে বিরামহীনভাবে আকাশটাকে আলোকিত করে রাখে।
  আর আমার পৃথিবী জুড়ে যতক্ষণ তোমার অস্তিত্ব থাকে,
  ততক্ষণ তুমি বিরামহীনভাবে আমার পৃথিবীটাকে আলোকিত করে রাখো।
- তারপর?
- তারপর আর কী...
  অমানিশায় আকাশ ঘোর অন্ধকারে ডোবে
  আর তুমি বিহীন আমি ঘোর বিরহে ডুবি।